আমাদের নিবন্ধিত ব্যবহারকারী : 2685
জনপ্রিয় ফিচারসমূহ
আপীল
আপিল কি?
আপিল হলো এমন একটি আইনি একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি উচ্চতর কর্তৃপক্ষ (আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ) দ্বারা পূর্বে সম্পাদিত কোনো আদেশ পর্যালোচনা করা হয়। আর এই পর্যালোচনাগুলো উভয় পক্ষের দায়ের করা কাগজপত্রগুলো যথাযথ আইন ও প্রক্রিয়ায় সম্পাদিত হইয়াছে কিনা তা দেখা হয়।
আয়কর আপিল কি?
উপকর কমিশনার বা পরিদর্শী যুগ্ম কর কমিশনার এর কোন কর নির্ধারণী আদেশে একজন করদাতা (ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান) সন্তুষ্ট না হলে অর্থাৎ সংক্ষুব্ধ হলে ঐ করদাতা (ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান) ঐ কর নির্ধারণী আদেশ এর বিরুদ্ধে সুবিচার প্রার্থনা করে আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ বরাবরে আপিল দায়ের আবেদন করতে পারেন।
আপিল দায়ের এর আইনগত ভিত্তিঃ
আয়কর আইন ২০২৩ এর ২৮৬ ধারা অনুসারে আপিল দায়ের করা হয়।
আপিল দায়ের এর ফি কত?
আয়কর আইন ২০২৩ এর ২৮৭ ধারা অনুসারে নির্দিষ্ট ফরমে এবং পদ্ধতিতে ২০০ (দুইশত) টাকা ফি পরিশোধ করে আপিল দায়ের করতে হবে।
আপিল দায়ের এর সময়সীমা কত দিন?
আয়কর আইন ২০২৩ এর ২৮৭ ধারা অনুসারে নির্দিষ্ট ফরমে ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে আপিল দায়ের করতে হবে। তবে আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ বর্ণিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরও আপিল গ্রহণ করতে পারবেন, যদি তার নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত সময়সীমার মধ্যে সংশ্লিষ্ট আপিলকারীর আপিল দায়েরকরণে ব্যর্থ হবার পর্যাপ্ত কারণ বিদ্যমান ছিল।
যেই ক্ষেত্রে আপিল দায়ের করা যাবে নাঃ
রিটার্ন দাখিলের পরিস্থিতি |
শর্ত |
যেইক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে |
ধারা ১৭৩ এর অধীন কোনো কর পরিশোধ করা হয় নি। |
যেইক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল করা হয়নি |
উপকর কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত করের ন্যূনতম ১০% (দশ শতাংশ) কর পরিশোধ করা হয়নি। |
তবে শর্ত থাকে যে, যদি আপিলকারী আপিল দায়েরের পূর্বে তার রিটার্নের ভিত্তিতে কর পরিশোধ করে থাকেন এবং আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, সন্তোষজনক কারণে আপিলকারী রিটার্ন দাখিলের পূর্বে কর পরিশোধ করতে পারেন নি, তা হলে আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ শুনানির জন্য আপিল গ্রহণ করতে পারবে।
একজন করদাতা (ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান) কি কি বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে আপিল দায়ের করতে পারবেনঃ
(ক) আয় নির্ধারণ;
(খ) পরিশোধ্য করদায় নিরূপণ;
(গ) ক্ষতির সমন্বয় বা জের টানা;
(ঘ) দণ্ড বা সুদ আরোপ;
(ঙ) চার্জ এবং সারচার্জ বা অন্য কোনো অর্থ হিসাব;
(চ) প্রত্যর্পণের পরিমাণ নিরূপণ;
(ছ) করের ক্রেডিট; এবং
(জ) কোনো প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত;
(ঝ) ধারা ২১৩ এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে আপিল;
(ঞ) আন্তর্জাতিক লেনদেন সংশ্লিষ্ট সমন্বয় বা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল;
(ট) ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল।
এ সম্পর্কিত বিস্তারিত দেখার জন্য আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ২৮৬, ২৮৭, ২৮৮, ২৮৯ ও ২৯০ দেখুন।