Frequently Ask Question

কর রেয়াত কি?

একজন করদাতা তার বাৎসরিক আয়ের উপর কর প্রদান করে থাকেন। প্রদেয় কর হতে একটি অঙ্ক করদাতা কম পরিশোধ করতে পারেন। করদাতা যে পরিমাণ অঙ্ক কর কম প্রদান করেন তাই কর রেয়াত। তবে কর রেয়াত পেতে হলে করদাতাকে অবশ্যই সরকার অনুমোদিত যেসকল খাতে বিনিয়োগ করলে কর রেয়াত পাওয়া যায় সেসকল খাতে বিনিয়োগ করতে হবে।

কর রেয়াত পরিগণনার পদ্ধতি কি?

আয়কর আইন, ২০২৩ এর  ষষ্ঠ তফসিল এর অংশ ৩ অনুযায়ী বিনিয়োগ করা হলে বিনিয়োগের সূত্র নিম্নরূপঃ

(ক) কর অব্যাহতি প্রাপ্ত আয়, হ্রাসকৃত করহার প্রযোজ্য এইরূপ আয় এবং নূন্যতম কর প্রযোজ্য এইরূপ আয় বাদ দিয়া পরিগণিত  মোট আয়ের = ৩%

(খ) কোনো আয়বর্ষে  ষষ্ঠ তফসিল এর অংশ ৩ অনুসারে করদাতার মোট বিনিয়োগ ও ব্যয়ের পরিমাণের উপর = ১৫% অথবা

(গ) সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে যেটি কম সেটি কর রেয়াত পাবেন।

 

অর্থ আইন, ২০২৪ এর মাধ্যমে নিম্নরূপ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে

(১) কোনো করদাতা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোট জনবলের অন্যুন ১০% (দশ শতাংশ) অথবা ২৫ (পঁচিশ) জনের অধিক কর্মচারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে নিয়োগ করিলে উক্ত করদাতাকে প্রদেয় করের ৫% (পাঁচ শতাংশ) অথবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি-কর্মচারীগণের পরিশোধিত মোট বেতনের ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ), যাহা কম, কর রেয়াত প্রদান করা হইবে।

(২) কোনো করদাতা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোট জনবলের অন্যুন ১০% (দশ শতাংশ) অথবা ২৫ (পঁচিশ) জনের অধিক কর্মচারী তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে নিয়োগ করিলে উক্ত করদাতাকে প্রদেয় করের ৫% (পাঁচ শতাংশ) অথবা তৃতীয় লিঙ্গের কর্মচারীগণের পরিশোধিত মোট বেতনের ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ), যাহা কম, কর রেয়াত প্রদান করা হইবে।

আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে করদাতার সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর ধার্যকৃত করের ১০% (দশ শতাংশ) হারে জরিমানা আরোপ করা হয়, যা সর্বনিম্ন ১ (এক) হাজার টাকা। 

আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত কোনো করদাতা রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হলে তার সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর ধার্যকৃত করের ১০% (দশ শতাংশ) হারে জরিমানা আরোপ করা হয়, যা সর্বনিম্ন ১ (এক) হাজার টাকা এবং ব্যর্থতা অব্যাহত থাকলে প্রতিদিনের জন্য ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা হারে অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করা হয়। এক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ প্রযোজ্য হবে; 

(ক) পূর্বে কখনোই কর নির্ধারণ করা হয় নি এমন করদাতার জন্য ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা। 

(খ) পূর্বে কর নির্ধারণ করা হয়েছে এমন করদাতার ক্ষেত্রে সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর প্রদেয় করের ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) অথবা ১ (এক) হাজার টাকার মধ্যে যেটা অধিক হবে সেটাকে জরিমানা হিসেবে ধার্য্য করা হয়। 

আয়কর রিটার্ন জমাদানের জরিমানা সম্পর্কিত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আয়কর আইন ২০২৩ এর ২৬৬ ধারা পড়ুন।

 

আর্থিক পরিসম্পদ হতে আয়ের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত খরচসমূহ অনুমোদিত হবে, যথাঃ-

(ক) ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি কর্তৃক করদাতাকে সুদ বা মুনাফা প্রদানের বিপরীতে আয়কর ব্যতীত কর্তনকৃত অর্থ;

(খ) কেবল “আর্থিক পরিসম্পদ হতে আয়” অর্জনের উদ্দেশ্যে ঋণকৃত অর্থের উপর পরিশোধিত সুদ;

(গ) কেবল সংশ্লিষ্ট আয় অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্বাহকৃত অন্য কোন ব্যয়

রিটার্ন দাখিলের পর যদি করদাতার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, নিম্নবর্ণিত কারণে তার প্রদেয় কর সঠিকভাবে পরিগণিত হয়নি বা সঠিক অঙ্কে পরিশোধিত হয়নি তাহলে তিনি সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে পারবেনঃ

(ক) প্রদর্শিত আয়; বা

(খ) দাবিকৃত কর অব্যাহতি বা ক্রেডিট; বা

(গ) অন্য কোন কারণে।

 

এক্ষেত্রে করদাতা সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের কারণ সংবলিত একটি লিখিত বিবৃতি দাখিল করবেন। তবে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করা যাবে না, যথাঃ-

(ক) রিটার্ন দাখিল করার তারিখ হতে ১৮০ (একশত আশি) দিন শেষ হওয়ার পর;

(খ) সংশোধিত রিটার্ন প্রথমবার দাখিলের পর; বা

(গ) মূল রিটার্নটি ধারা ১৮২ এর অধীনে অডিটের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর।

 

কর দিবসের মধ্যে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করলে ধারা ১৭৩ অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে হবে।

 

করদিবস পরবর্তীকালে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করলে, সংশোধিত রিটার্নে এমন কোনো কর অব্যাহতি দাবি করা যাবে না যা মূল রিটার্নে দাবি করা হয়নি এবং নতুন কোনো কর অব্যাহতি দাবি করা হলে তা বাতিলপূর্বক নিয়মিত হারে করারোপিত হবে।

অর্থ আইন, ২০২৪ এর মাধ্যমে ষষ্ঠ তফসিলের অংশ ১ এর দফা (৩৬) অনুযায়ী কোন স্বাভাবিক ব্যক্তি কর্তৃক গৃহীত অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকার মূলধনি আয় নিম্নবর্ণিত শর্তে করমুক্ত হবেঃ

(ক) তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি বা তহবিলের শেয়ার বা ইউনিট হস্তান্তর হতে অর্জিত হয় এবং

(খ) কোন কোম্পানি বা তহবিলের স্পন্সর, ডিরেক্টর বা প্লেসমেন্ট শেয়ার বা ইউনিট হস্তান্তর হতে অর্জিত না হয়।

হ্যাঁ। করদিবস পরবর্তীকালেও স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাগণ স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। অন্যকোন পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ নেই।

আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা-৫৫(ঘ) অনুযায়ী অনুমোদিত পারকুইজিট এর পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা।

আয়কর আইন, ২০২৩ এর সপ্তম অংশের বিধান অনুসারে নিম্নরূপে উৎসে কর্তনকৃত কর জমা করতে হবে।

ক্রমিক নং কর্তন ও সংগ্রহের সময় সরকারী কোষাগারে জমাদানের তারিখ
অর্থবৎসরের জুলাই  থেকে মে মাসের যেকোন কর্তন বা সংগ্রহের ক্ষেত্রে কর্তন বা সংগ্রহের মাসের শেষে পরবর্তী ০২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে
অর্থবৎসরের জুন মাসের ১ম থেকে ২০ তম দিনের যে কোন দিনের কর্তন বা সংগ্রহের ক্ষেত্রে কর্তন বা সংগ্রহের দিনের পরবর্তী ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে
অর্থবৎসরের জুন মাসের অন্যান্য যে কোন দিনের কর্তন বা সংগ্রহের ক্ষেত্রে কর্তন বা সংগ্রহের পরবর্তী দিন
অর্থবৎসরের জুন মাসের শেষ কর্মদিবসে কর কর্তন বা সংগ্রহের ক্ষেত্রে কর্তন বা সংগ্রহের দিন

 

 

আরো দেখুন

আমাদের পরামর্শদাতারা

সৈয়দ আবু সোলায়মান (রানা)
সৈয়দ আবু সোলায়মান (রানা)

CMA (Aus), CGBA, MIPA, AFA

We are BD Taxation, We Provide Income Tax Calculator

Welcome to BDTaxation, your trusted source for all things related to tax in Bangladesh. Our mission is to guide you through the complexities of tax laws and regulations with ease and confidence. Whether you are a local resident or a foreigner, navigating the tax landscape can be daunting. At BDTaxation, we are dedicated to simplifying this process for you. We provide comprehensive guides, up-to-date information, expert advice, and reliable services every step of the way. Let us be your reliable partner in all matters of taxation in Bangladesh.

Why Choose BDTaxation?

  • Reliable & Comprehensive Information: Accuracy is essential in taxation. Our detailed guides simplify complex bd tax topics. Count on us for reliable, up-to-date information to make informed decisions with confidence. From income tax calculations to VAT regulations, making taxation in Bangladesh easy to understand as per Bangladesh Income Tax Rate.
  • User-Friendly Experience & Efficient Services:Tax matters can be daunting. Our intuitive platform is designed for comfort of use, whether you’re an expert or new to bd taxation. Tax season can be stressful. Our comprehensive services, including bd tax planning, income tax calculator for Bangladesh, preparation of income tax return, online tax return/e return bd, online tax return submission and income tax return filing, are designed to make your life easier.
  • Timely Updates: Tax laws change time to time based on Govt requirement. We stay on top of the legal developments, ensuring our content is always current and compliant with the latest regulations of income tax bd. Stay ahead with the latest bd tax laws and regulations. We keep you informed with up-to-date news of bd taxation, ensuring you're always compliant.
  • Expert Advice: Got questions? Our experienced tax professionals provide personalized guidance tailored to your unique situation, helping you make informed decisions.
  • Personalized Support: Your satisfaction is our priority. Facing a complex tax issue or need guidance? Our dedicated team provides personalized support every step of the way like e-TIN, lawful tax calculation in Bangladesh, preparation of income tax return online bd, online tax return submission and income tax return filing.
  • Expatriate/Foreigner Support: Navigating taxes as a foreigner (Living or working) in Bangladesh can be challenging. We offer clear, straightforward guidance on residency status, taxable income, and compliance, making it simpler for you.
  • Finally, our dedicated services will give you:
    • Peach of mind,
    • Save of time
    • Save of additional money,
    • Tax planning,
    • Tax preparation,
    • Online tax submission,
    • Income tax filling,
    • Tax audit defense,
    • Many more relating with bd taxation tasks.